রূপকথা

বাবা (জুন ২০১২)

স্বাধীন
  • ৩৯
  • ১৩০
কালামের হোটেলে খেতে খেতে গ্যাস্ট্রিক বাধিয়ে ফেলেছি। লুকিয়ে লুকিয়ে যেতে হয়। ঘরে বউ আছে, মা আছে, তার পরও হোটেলে খাওয়া। লোকজন দেখলে আর মুখ রক্ষা হবে না। মানুষ বুড়ো হলে যে কোন তাল থাকে না আমার বাপটাকে দেখলে এ কথার স্বপক্ষে আর প্রমান লাগে না। জীবনে কোনদিনই আমার ভাল চাইলেন না, চেষ্টাও করলেন না আমাকে বুঝার। মাঝে মাঝে মনে হয় আমাকে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনেছেন। আর ভাববই না বা কেন? যখন এমনি এমনি কোন কথা বলি সেটা নিবেন সিরিয়াস ভাবে। আবার সিরিয়াস কোন কথা বললে দাম দিবেন না। মানুষ বিয়ে করে সংসারী হয় আর আমি হয়েছি বৈরাগী। এমন একটা বউ জুটেছে কপালে, আমি দিন বললে তার রাত বলা চাই ই চাই। আরে বাবা এমন হলে সংসার করে লাভ কি?

লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে যখন হণ্যে হয়ে চাকুরীর আশায় ঘুরছি, কম্পিউটার এনালিস্ট পদের সব বাধা পার হয়ে ভাইবা বোর্ড যখন জানতে চায় "ছাগল কত প্রকার" তখন আর বুঝতে বাকি থাকে না চাকুরীর শিকে আমার ছিড়ছে না। সিদ্ধান্ত নিলাম ব্যবসা করব। আমার প্রেমিকা যাকে বিয়ে করে ঘরে এনেছি সেই যদি তার সোনার জিনিস গুলো দিয়ে আমায় সহায়তা না করে তাহলে আর কার সাহায্য পেতে পারি। আমিতো তাকে বলিনি বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে এসো, এতা আমাদেরই দেয়া। আমাদের যা আছে তাই দিয়ে শুরু করি। হায়রে মেয়ে মানুষ পেটে দানা যাক আর না যাক নাক, কান, গলায় সোনা চাই।

ঝগড়া করে সে ই চলে গেছে। দুবছর আর ফেরেনি। ফিরে যখন আসেনি, আর আনার দরকারই বা কি। নিষেধ করেছি বার বার, তবুও ঈদের আগের দিন সেই অমানুষটিকে যখন আমার ঘরে দেখি তখন রাগে দুঃখে এ দুনিয়া ছাড়তে ইচ্ছে হয়। মা-বাপ হয়ে যদি আমার কষ্ট না ই বুঝে, লাভ কি তাদের সাথে কথা বলে। কথা বন্ধ, খাওয়া বন্ধ।

ঈদ চলে গেছে মাস দুয়েক হয়। আর এই পুরো সময়টাতে মা-বাবার ঘরে উকি দিয়েও দেখিনি। বাবার পেনশনের টাকা আর বন্ধু-বান্ধব, যাদের কাছ থেকে কখনো সহযোগিতা নেব না বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আজ তাদের সাহায্যে একটি বাস গাড়ীর মালিক হয়েছি। দুবছরে ঋণ শোধ করে কিছু টাকাও জমেছে হাতে। ভাবছি আর একটি বাস নামাব, ব্যবসাটা বড় হলে সুন্দর একটা জীবন হবে আমাদের। কষ্ট কষ্ট আর কষ্ট, কত ভাল লাগে এই কষ্টকর জীবন!

আজ রাতের খাবারটাও ছিল বিশ্রী। ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে লাউ এর তড়কারি। আর মুগডালটা যা হয়েছে না! বাড়িতে এমন রান্না হলে এ জিনিস জীবনেও আর মুখে তুলতাম না। রাজ্যের বিরক্তি নিয়ে বাসায় ফিরছি। রুমে ঢুকতে যাবার সময় মা খুব করুন গলায় বললেন:

অভ্র তোর বাবার শরীরটা সেই দুপুর থেকেই ঘামছে। বুকে হাত দিয়ে উপুর হয়ে শুয়ে আছে। বাজারে আজ ডাক্তারও আসেনি। একটু প্রেসারটা মেপে দিবি?
দুপুর থেকে এমন অবস্থা আর তুমি আমাকে এখন জানাচ্ছ এ কথা!

ঝড়ের বেগে বাবার রুমে যাওয়ার পথে মাকে খুব কড়া করে বললাম কথা গুলো।

তুইতো আমাদের সাথে কথা বলিস না তাই ভয় হচ্ছিল।

মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর আমার কিছু বলার ছিল না। বাবার কপালে আলতো করে হাত রাখলাম। শরীর খুব বেশী গরম না তবে এই হালকা শীতে তার অতিরিক্ত ঘাম মনে ভয় ধরানোর জন্য যথেষ্ট। ওয়ার্ডরোব থেকে ডিজিটাল প্রেসার মিটার বের করে মাপলাম ১৯০/১৫০। হার্টবিটও মারাত্মক রকম বেশি ১০০ থেকে ১১০এ উঠা নামা করছে। মিটারটা কি কেউ ধরেছিল নাকি! সন্দেহ দূর করতে নিজের প্রেসার মাপলাম ৯০/৬৫ হার্টবিট ৬০। না ঠিকইতো আছে। দ্রুত করণীয় ভাবতে থাকি। বাবার প্রেসার কখনোই ১১০/৭০ এর খুব বেশি ব্যতিক্রম হয়নি। আবার এয়ার ব্যাগটা বাহুতে জড়িয়ে মাপলাম, এবার ডিজিটাল মিটার কোন সঠিক রিডিং দেখাচ্ছে না। আমারটা আবার মাপলাম, মায়েরটা মাপলাম, দুজনেরটাই ঠিক দেখাচ্ছে। ভয়ে আমার কলজে শুকিয়ে আসছে। আমার মুখ দিয়ে কোন কথা বেরুচ্ছে না। আজ ধারে কাছে কোন ডাক্তার নেই যাকে এনে দেখাতে পারি।

আমার মাথা কাজ করছে না। বাবার বড় দুভাই এবং ছোট ভাইটা গত হয়েছেন বেশ কয়েক বছর। হার্ট এটাকের প্রায় চরম পর্যায়ে পৌছে গেছে বাবার অবস্থা। ছোট ভাইগুলো সব অফিসে আসতে এখনো প্রায় ঘন্টা দুয়েক লাগবে। আমি পাগলের মতো বাবার ফুলপ্যান্ট এবং অন্তর্বাস নিয়ে তাকে পড়াতে থাকি। কখন যে উনি আমার বাবা থেকে আমার ছেলে হয়ে গেছেন বুঝতে পারছি না। মায়ের চোখে জল ঝরে পড়ছে কিন্তু কোন শব্দ নেই। বাবাকে কাপড় চোপড় পরিয়ে আমি দৌড়ে বের হলাম গাড়ির খোজে। প্রায় এক কিলোমিটার দৌড়াদৌড়ি করেও কোন গাড়ি পেলাম না। খালাত ভাইয়ের নিজের গাড়ি আছে, হাটতে হাটতে ওকে ফোন দিলাম, ও ঢাকায় নেই। হঠাৎ একটা সিএনজি চলে যেতে দেখলাম দৌড়ে আর গলা ফাটিয়ে ডেকে থাকে থামালাম মাত্র দশ কিলোমিটার রাস্তা, যখন বললাম একজন রোগী নিয়ে যেতে হবে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক সেন্টারে সে ভাড়া চাইল এক হাজার টাকা। মাথায় রক্ত উঠে যাচ্ছে, রাগে ক্ষোভে আমার কথা জড়িয়ে যাচ্ছে, ড্রাইভারকে কিছু না বলে বললাম গাড়ি ঘুরাও। ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিয়ে দ্রুত ভেগে গেল। আমার দুচোখ বেয়ে অশ্রু গলে পড়ছে আর পাগলের মতো দৌড়াচ্ছি।

ঐতো একটা সিএনজি দেখা যাচ্ছে, তাকে আর ভাড়ার কথা বলার সুযোগ না নিয়ে এলাম বাড়ীতে। বাবা দাঁড়াতে পারছেন না তবুও জানিনা নিজেকে না আমাদের কে শান্তনা দেয়ার জন্য বললেন:
আরে তুমি এত দুশ্চিন্তা করছ কেন, আমার কিচ্ছু হয়নি।
আমার চোখে আবার জল এলো, বাবা সাধারণত আমাদের তুমি করে বলেন না। তুই করেই বলেন। বাবার হাত আমার কাধে নিয়ে ধরে সিএনজিতে বসালাম। মাকে বললাম আমার জমানো টাকাগুলো দিতে। মা টাকার পোটলাটা এনে আমার হাতে দিলেন।

হাসপাতালে নেয়ার পর আইসিইউতে রাখা হলো। ডাক্তার জানালেন-

অবস্থা খুব ভাল নয়, টাকা খরচ করতে পারবেনতো!
ডাক্তার আমার একটা বাস গাড়ি আছে বিক্রি করলে পনের লক্ষ টাকা মতো পাব। এতে হবে না!

ডাক্তার সাহেব আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখলেন-

এখন কত টাকা আছে সাথে?

আমিও তাকিয়ে দেখলাম লুঙ্গি আর চপ্পল পায়েই চলে এসেছি হাসপাতালে। টাকার পোটলাটা বের করে ডাক্তারের সামনে বের করে বললাম এখানে তিন লাখ টাকা আছে।

এত টাকা এখন লাগবে না ইকো কার্ডিওগ্রাম, ইসিজি, এনজিওগ্রাম আর কিছু টেস্ট করতে প্রায় ত্রিশ হাজার টাকার মতো লাগবে। কাউন্টারে টাকা জমা করে ভর্তি করে দিন।

কাউন্টারে টাকা জমা করে ভর্তির কাগজপত্র হাতে নিয়ে গেলাম বাবাকে দেখতে। বাবার বেড এর পাশে একটা চেয়ারে তার হাতটা আমার হাতে নিয়ে বসে থাকলাম। বন্ধ দুটো চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে তার। তীব্র একটা যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে আছেন অথচ চেহারায় কেমন একটা দ্যুতি ছড়িয়ে আছে। নার্স এসে আমাকে বাইরে যেতে বললেন।

আমি বাইরে ওয়েটিং রুমে বসে আছি। ইতোমধ্যে ছোট ভাইরা সব হাসপাতালে চলে এসেছে। চরম উৎকন্ঠায় রাত পেরিয়ে ঠিকই আরেকটা সকাল এলো। বাবার এনজিওগ্রাম করা হয়েছে তিনটা করোনারী আর্টারীতেই ব্লক ধরা পড়েছে যার সবগুলোই ৮০% এর উপরে।
ডাক্তার তার রুমে ডাকলেন আমাকে।

অভ্র আমি হাসপাতালে বলে কিছু কনসেসন নিয়ে দিতে পারব। সব মিলিয়ে দুলক্ষ আশি হাজার টাকার মতো লাগবে। হাজার বিশেক টাকা যেটা অপারেশনে ডাক্তাররা পায় সেটা আমরা নিব না, তাহলে দুলক্ষ ষাট হাজার টাকার মতো খরচ পড়বে। আর ঘাবড়াবেন না, সৃষ্টিকর্তা চাইলে উনি আবার সুস্থ হয়ে উঠবেন।

স্যার কনসেসনের দরকার হবে না, জীবনটাই চলে যাচ্ছে কনসেসন আর কমপ্রোমাইজে, বাবার জন্য কোন কনসেসন আর কমপ্রোমাইজ চাইনা। ওটা অন্য কোন গরীব রোগীকে দিলে সে উপকৃত হবে। আমি আমার সবটুকু দিয়ে দিতে পারব।

ডাক্তার আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। আমার সামনেই প্রতিটা বিভাগের -এনেসথেটিক, অপারেশন আইসিইউর প্রধানদের বলে দিলেন অপারেশনের সময় উপস্থিত থাকতে। আগামী কালই বাইপাস হবে।

আমি বাবার কাছে গেলাম, বাবার হাত ধরতেই চোখ খুলে আমার দিকে তাকালেন। বুক ভাঙ্গা কান্নায় জড়িয়ে ধরলেন আমাকে।

বাবারে তোমার আরেকটা বাস গাড়ি আর কেনা হলো না।
বাবা এখন কেনা হলো না, একদিন হবে, তবে তোমাকে হারালে কি আর কখনো ফিরে পাবো বাবা?
তুমি এত আবেগী কেনরে বাপ! বয়স হয়েছে একদিনতো মরতেই হবে।

বাবার চোখের গরম জলে আমার পিঠ ভিজে যায়।
আমার চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসে, কিছু ভাবতে পারি না। একদিন বাবাকে হারাতে হবে, যে আমাদের কাধে নিয়ে সাতার শিখিয়েছে যাতে ডুবে যেতে না হয়, সেই বাবাকে যার সাথে অকারণে কত অভিমান কত রাগ করেছি, যখন সবাই এমনকি আমার জীবন সঙ্গীনিও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তখন তার শেষ সম্বলটাও আমার হাতে তুলে দিতে দ্বিধা করেন নি। সেই বাবাকে যে মৃত্যু পথে থেকেও চিন্তা করছেন তার চিকিৎসায় টাকা খরচ হয়ে যাওয়ায় আমার ব্যবসাটা বাড়তে পারলোনা...

বাবাকে পরম মমতায় জড়িয়ে ধরে বললাম "আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি বাবা"
চোখের জলে আমাদের সব কষ্ট ধুয়ে যায়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য ভাল হয়েছে, এরকম চলতে থাক
রোদের ছায়া লেখকের জীবনে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে কিনা জানি না নাকি লেখক নিজে একজন ডাক্তার ... বর্ণনা এতটাই বাস্তবতার কাছকাছি । আর কাহিনীটাও খুবই সুন্দর ....অনেক সময় বাবা মায়ের তথাকথিত আদর্শ সন্তান নিজের কাজে এতই ব্যস্ত থাকে যে বাবা মায়ের প্রয়োজনে কাছেই থাকতে পারতেন আর সবচেয়ে হতভাগা সন্তানটি পাশে এসে দাঁড়ায় ........অসাধারণ একটা গল্প ....
susmita অনেক অনেক সুন্দর একটা গল্প।গল্প বলে মনেই হয় না।পড়ার সময় পুরো ঘটনাটা চোখের সামনে এমনভাবে দেখতে পাচ্ছিলাম যে মনে হচ্ছিল বাস্তবেই দেখছি। অভিনন্দন ভাইয়া এত চমৎকার লেখার জন্য :)
আমার উদ্দেশ্যটাই এমন ছিল আপু, হয়তো সেভাবে পারি নি। আশা ছিল লেখাটা যে পড়তে শুরু করবে সে যেন লেখার গভীরে সন্তান চরিত্রে ঢুেক গিয়ে অনুভব করে পুরো ঘটনাটা। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
এনামুল হক খুব ভাল
এনামুল হক ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
দিপা নূরী সংসারে যত ঘটনাই ঘটুক, বাবা মার অসুখ বিসুখে সন্তান দূরে সরে থাকতে পারে না। বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা আর কর্তব্যের প্রতি খেয়াল রেখেই আবেগ মিশ্রিত গল্প।
ঠিক বলেছেন আপা, সংসারে যাই ঘটুক না কেন বাবা মায়ের প্রতি সন্তানের নুন্যতম শ্রদ্ধা থাকলে সে অসুখে বিসুখে আর দূরে সরে থাকতে পাের না।
মাহবুব খান বাবার গল্প মন ছুয়ে গেছে /ভালো লাগলো
অনেক অনেক ধন্যবাদ মাহাবুব ভাই।
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন ................চমৎকার আর আবেগময় গল্প ভাল লেগেছে। তবে মনে হয় শেষের দিকে একটু এলোমেলো হয়ে গেছে। শুভেচ্ছা রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাই। (এলোমেলো হওয়া জায়গাটা ধরিয়ে িদলে উপকৃত হতাম ওয়াহিদ ভাই)
পারভেজ রূপক বাবাকে নিয়ে টানা হেচড়া কম করতে হয়নি জীবনে। যদিও মনে গেঁথে আছে মায়ের চিরবিদায়। অসাধারণ লাগল গল্প।
বাবা মা কে আমরা সবাই ভালবাসি, অনেক ভালবাসি। আর যদি কেউ আমরা তাদের হারিয়ে ফেিল সে শোক কখনো ভুলবার নয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

২৯ জানুয়ারী - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "নগ্নতা”
কবিতার বিষয় "নগ্নতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ মে,২০২৪